sunny roop mansi - unique relationship involving one husband with two wives - khobortobor.com
, ,

দুই বউয়ের স্বামী এক, কিভাবে কাটছে সংসার ?

এক স্বামী নিয়ে দুই স্ত্রী, এর মধ্যে কার্যত কি সম্পর্ক হতে পারে তা আমরা সহজেই অনুমান করে নিতে পারি। কথায় আছে ‘সতীন কাঁটা’ বা ‘সতীন যার ঘরে, দুঃখে সে জন মরে’। কিন্তু এই চিন্তা ভাবনা কে সম্পূর্ণ বিপরীত প্রমাণ করেছে এক দম্পতি। যদিও দম্পতি বলতে আমরা এক স্বামী ও তার স্ত্রী কেই বুঝে থাকি। কিন্তু এক্ষেত্রে স্বামী এক কিন্তু তার স্ত্রী দুইজন।

হ্যাঁ আসলে আমরা বলছি রূপ(roop) রাজপুত ও মানসী রাজপুতের কথা। দুই জনেই শিক্ষিতা, ভালো পরিবারের। কিন্তু বিয়ে করে বসলেন এক ব্যক্তিকেই। কি এমন হয়েছিল? কেন এমন জটিল সিদ্ধান্ত নিতে হলো? কেমন ই বা দিন কাটে দুই সতীনের? তাদের নিত্য জীবনচর্যা কেমন? আসুন জেনে নেওয়া যাক

রূপ রাজপুত ও মানসী রাজপুত এই দুইজনের একজনই স্বামী। তিনি হলেন সানী রাজপুত। কার্যত একটু বিপাকে পরেই তার বিয়ে হয় দুটি মেয়ের সঙ্গে। আসলে সানী তার স্কুল জীবন থেকেই প্রথম প্রেম হয় রূপের সঙ্গে। ধীরে ধীরে তারা বড় হতে থাকে এবং প্রেম গভীর ভালোবাসায় পরিণত হয়। কিন্তু কলেজ লাইফে এসে তারা বুঝতে পারে তাদের এই প্রেমে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে সামাজিক নিয়ম। আসলে রূপ ছিল উচ্চ জাত (Higher Caste) সম্পর্কিত পরিবারের মেয়ে সেখানে সানী তার তুলনায় নীচু জাতের (lower caste)। তাই রূপ তাদের সম্পর্কের কথা বাড়িতে জানাতে বাড়ির লোকজন কোনোভাবেই মেনে নেয়নি। এবং তারাও চায়নি কখনো পরিবারের অমতে দুজনের মধ্যে বিয়ে হোক। তাই একপ্রকার বাধ্য হয়ে ই দুজনে নিজেদের মধ্যে বোঝাপড়া করে সাময়িক বিচ্ছেদ করে নেয়।

সাইক্লোন ‘রেমাল’ কাতদূরে জানতে ক্লিক করুন

এদিকে প্রেমে আঘাত প্রাপ্ত সানীর সঙ্গে কলেজেই পরিচয় ঘটে জুনিয়র স্টুডেন্ট মানসীর সঙ্গে। দুজনের মধ্যে পরিচয় হয়, ফোন নম্বর আদান প্রদান হয়। তারপর ফেসবুক মেসেজে নিত্য কথা হতে থাকে দুজনের মধ্যে। সানী তাকে রূপের ব্যাপারে সব কথাই খোলাখুলি বলে। এইভাবে সানীর সঙ্গে মানসীর দ্বিতীয় প্রেম হয়। যদিও এই নতুন সম্পর্কের ব্যাপারে সানী রূপ কে কিছুই জানায় নি। এদিকে মানসী, সানীর সাথে হওয়া সম্পর্কের কথা নিজের পরিবারে জানায়। সানীও বলে তার পরিবারে। উভয়ের পরিবার রাজি হয়ে যায় বিবাহের জন্য। আসন্ন বিবাহ দেখে মানসী তার ও সানীর একসাথে থাকা কিছু কিছু ফটো প্রতিদিন ফেসবুকে ও হোয়াটস অ্যাপে শেয়ার করতে থাকে।

এদিকে হঠাৎ একদিন রূপ নিজের পরিবারের সঙ্গে কথা কাটাকাটি করে বাড়ি থেকে বের হয়ে আসে। চলে আসে তার প্রেমিক সানীর কাছে। উপায়ন্তর না দেখে দুজনে কোর্ট ম্যারেজ করে নেয়। এদিকে মানসী এই ব্যাপার জানতে পারলে রাগে, দুঃখে, অভিমানে নিজের ফোন ও সিম কার্ড ভেঙে দেয়। তারপর ধীরে ধীরে স্বাভাবিক হয়ে ওঠে।

এদিকে রূপ ও সানীর সুখের সংসার ঠিকই চলছিল কিন্তু মানসীর সব বিয়ের সম্বন্ধ ভেঙে যাচ্ছিল। কারণ পাত্রপক্ষের ফেসবুকে থাকা মানসী ও রূপের ছবি বারবার চোখের সামনে চলে আসছিল। এদিকে সিমকার্ড ভেঙে যাওয়ায় ফেসবুকের সেই সব ছবিও ডিলিট করা যাচ্ছিল না কিছুতেই।

মিঠাই খ্যাত অভিনেতা আদৃত ও কৌশাম্বীর রিসেপশন কেমন ছিল জানতে ক্লিক করুন

মানসীর এই করুণ পরিস্থিতির কথা সানী জানতে পারে। জেনে সে রূপ কেও সব জানায়। তারপরই তারা সিদ্ধান্ত নেয় মানসী কেও বিয়ে করে বর্তমান বাড়িতে নিয়ে আসার। যেমন ভাবা তেমন কাজ। যদিও এই ত্রিকোণ বিবাহের সম্পর্কে তিন জনের বাড়ির লোকজনই মেনে নিতে পারে নি।

বিয়ের পর নিত্যই দুই সতীনের মধ্যে ঝগড়া লেগেই থাকত। কিন্তু সময়ের সাথে সাথে নিজেদের মধ্যে সব ভুল বোঝাবুঝি মিটিয়ে এখন তারা খুব ভালো সম্পর্ক গড়ে তুলেছে। মানসী ও রূপ তাদের এক স্বামী সানীর সাথে সুখের সংসার করছে বর্তমানে। তারা একসাথে ঘুরতে যায়। একসাথে ঘরের কাজ সামলায়। একসাথে নিজেদের এক স্বামীর জন্য ব্রত রাখে। প্রেমও করে একসাথেই। রূপের এক কন্যা সন্তান হয়েছে। ওর নাম রেখেছে আরাধ্যাunique relationship involving one husband, two wives

কেকেআরের ড্রেসিং রুমে রোহিত, এটা কিসের ইঙ্গিত ? জানতে ক্লিক করুন

তারা ইউ টিউব চ্যানেল খুলেছে। সেখানে ডেলি ভ্লগ ভিডিও শেয়ার করে। এবং সেই ভিডিও গুলি তেই দেখা যায় তাদের মিষ্টি মধুর ত্রিকোণ ভালোবাসার সম্পর্ক। দুই বিবাহ করে একপ্রকার আনন্দেই দিন কাটছে রাজপুত দম্পতির। ইউ টিউবে তাদের ২০ লক্ষ্যের উপর সদস্য। তারা জানিয়েছে। এই সদস্য দের নিয়েই তাদের পরিবার। তাদের ভালোবাসার জন্যই আজ এই জায়গায় পৌঁছাতে পেরেছে তারা। তাদের নিত্য জীবনচর্যা-র সাথী হতে আপনিও যুক্ত হতে পারেন তাদের সঙ্গে। নীচে তাদের ইউ টিউব চ্যানেলের লিঙ্ক দেওয়া হল। ক্লিক করে ঘুরে আসতে পারেন।
👉https://www.youtube.com/@Sunnyrajputvlogs13

👉https://www.youtube.com/@Roopmansivlog

2 responses to “দুই বউয়ের স্বামী এক, কিভাবে কাটছে সংসার ?”

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Related Posts