Bengali actor torn between Kolkata's traditional culture and the allure of Bollywood. Use symbols like Kolkata's landmarks and Bollywood posters to illustrate this contrast. Show the actor's expression reflecting their journey between their roots and fame in Hindi TV.

বাংলা ইন্ডাস্ট্রির জনৈক এক অভিনেতার হঠকারিতায় মুখ পুড়ল বাংলা ইন্ডাস্ট্রির। কি করেছেন তিনি আসুন জেনে নেওয়া যাক

বাংলা ইন্ডাস্ট্রিতে সব সময়ই একটা বলিউডের চান্স পাওয়ার খিদে থাকে। বেশিরভাগ অভিনেতা ও অভিনেত্রী মুম্বাইয়ের ডাক ফেরায় না। মায়া নগরিতে কাজ করা সকল মানুষেরই একটা স্বপ্ন থাকে। এমনও গুঞ্জন শোনা যায়, হিন্দি ছবি বা সিরিজ়ে শুধু মুখ দেখাবেন বলে টলিপাড়ার এই প্রজন্ম নাকি ভিড়ে ‘একস্ট্রা’ হয়ে দাঁড়াতেও রাজি!

তবে এবারে একটু উল্টো ঘটনাই ঘটলো। এক বাংলা ইন্ডাস্ট্রির নায়ক হিন্দি ধারাবাহিকে নায়কের চরিত্রে অভিনয়ের সুযোগ পেয়েছিলেন। মায়ানগরীতে উড়ে গিয়ে ধারাবাহিকের প্রচার ঝলকের শুটিংও সেরে ফেলেছেন। তার পর বৌয়ের ভয়ে সে সব ছেড়ে কলকাতায় এসে বসে আছেন! বলে শোনা যাচ্ছে।

বিষয়টা খানিকটা এরকম যে, টলিপাড়ার এই নায়ক কলকাতার একটি প্রথম সারির প্রযোজনা সংস্থার সঙ্গে গাঁটছড়া বেঁধেছিলেন। বছরের শুরুতে ওই সংস্থারই একটি ছবিতে নায়কের ভূমিকায় অভিনয় করেছিলেন তিনি। তাদেরই আড়াই বছর ধরে চলতে থাকা একটি বাংলা ধারাবাহিকের হিন্দি রিমেকে তাঁকে নেওয়া হয়েছিল। খবর, ধারাবাহিকটি দেখানো হবে জাতীয় স্তরের প্রথম সারির জাতীয় স্তরের চ্যানেলে। নায়ক সেই খবর পাওয়া মাত্রই ভীষণ খুশি হয়ে মায়া নগরীর দিকে ছোটেন।

এদিকে সদ্য বিয়ে করেছেন। সবটাই স্ত্রী-ভাগ্য ধরে নিয়ে খুশি মনে উড়ে গিয়েছিলেন আরব সাগরের তীরে। সেখানে গিয়ে প্রচার ঝলকের শুটিংও শুরু হয়ে গিয়েছিল আর ঠিক এমন সময় বৌয়ের ফোন। প্রথমে অনুরোধ করে আর তার পরেই তেড়ে ঝগড়া! কী চান তিনি? অভিনেত্রী স্ত্রী বলিউড বোঝেন না। তাঁর দাবি, ফোন রেখেই অভিনেতা স্বামীকে কলকাতা ফিরতে হবে। তাঁর মা গুরুতর অসুস্থ। তিনি এ ব্যাপারে কারও সঙ্গে কোনও সমঝোতা করবেন না। নইলে…

নইলে যে কি সে হয়তো বিবাহিত পুরুষরাই একমাত্র জানেন। তবে এত বড় অফার ছেড়ে চলে আসবেন এটা অনেকেই মেনে নিতে পারছে না। অন্য কেউ হলে কী করতেন? তিনি বৌকে বোঝাতেন। যেভাবেই হোক রাজি করাতেন। শুটিং থেকে ছুটি মিললেই স্ত্রীর সঙ্গে দেখা করে যেতেন। তার পর মুম্বইয়ের কাজ শেষ করে একমুখ হাসি নিয়ে বাড়ি ফিরতেন। কিন্তু এক্ষেত্রে তেমনটা হলো না।

ইনি কী করলেন? প্রথম সারির প্রযোজনা সংস্থা, জাতীয় স্তরের চ্যানেল কর্তৃপক্ষ — কাউকে কিছু না জানিয়ে বিমানের টিকিট কেটে পালিয়ে এলেন কলকাতায়। এটা যথেষ্ট দায়িত্বজ্ঞানহীন মানুষের মতো একটি কাজ। যারপরনাই ওই দুই সংস্থা বেশ বিরক্ত।

আগামী দিনের যাবতীয় কাজ থেকে তারা নাকি নায়ককে পত্রপাঠ বাতিল করে দিয়েছে! বলেও জানা যাচ্ছে। যদিও সেটাই স্বাভাবিক। তবে এমন কাজে বাংলার অন্যান্য অভিনেতাদের হায় হায় করতে শোনাও গেছে। এতে বাংলার ইন্ডাস্ট্রির মুখ পুড়ল বলেই মনে করছেন তারা।

[আরো পড়ুন:👉 রথযাত্রা বাঙালির ইমোশান। তাই কেমন থাকবে রবিবারের আবহাওয়া আসুন জেনে নিই।]

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Related Posts