আমাদের প্রত্যেকেরই সারাদিনে অনেক কাজ থাকে, আমরা সকলেই প্রায় ব্যস্ত নিজেদের সিডিউল নিয়ে। কিন্তু তার জন্য সুস্থ থাকা ভীষণ জরুরি। আর তার জন্য দরকার পর্যাপ্ত ঘুমের। কিন্তু এমন অনেক সমস্যা থাকে যার জন্য নারী পুরুষ নির্বিশেষে ঘুম ভালো হয়না। যার জন্য স্লিপিং ডিভোর্স অবধি হচ্ছে। কিন্তু ডিভোর্স শুনলেই মানুষ ভয় পেয়ে যায়।
এই স্লিপিং ডিভোর্স কি ভালো? কেনই বা এমন ডিভোর্স হচ্ছে আসুন জেনে নেওয়া যাক।
মূলত এই সমস্যা গুলির মধ্যে অন্যতম হল বিয়ের বেশ কিছু বছর পর স্বামী স্ত্রীর মধ্যে মতপার্থক্য। এছাড়াও অনেক সমস্যা রয়েছে যেমন :-
১. এক জনের নাকডাকার শব্দে অন্য জনের ঘুমোতে না পারা।
২. দুজনের ঘুম এক সময় না আসার কারণে ডিস্টারবান্স হয়।
৩) অপরিচ্ছন্নতা নিয়ে অস্বস্তি। অনেকেই স্বস্তিতে একজন আরেকজনের জন্য ঘুমোতে পারে না।
৪) সম্পর্কের তিক্ততা, ফলে একে অন্যের পাশে শুতে না পারা।
৫) ঘুমোতে যাওয়ার আগে ঝগড়া।
৬) ঘরের পরিবেশ নিয়েও অনেক সময় প্রবলেম হয়। কেউ হয়তো এসির তাপমাত্রা বাড়াতে চাইছেন কেও বা কমাতে, বা লাইট জ্বালিয়ে ঘুমোনোর অভ্যাস, টেলিভিশন চালিয়ে ঘুমের অভ্যাস— এই জাতীয় বিষয় নিয়ে সমস্যা।
[আরো পড়ুন:👉 আপনি কি খুবই চুপচাপ ! চট জলদি মিশতে পারেন না কারুর সঙ্গে ! ঘরে বসেই অর্থ উপার্জনের জন্য এই কাজ গুলো উপযুক্ত হবে]
তাই এর একটি সহজ সমাধান হলো স্লিপিং ডিভোর্স। এটি এমন কিছুই বিষয় নয়। এটি নিজেদের মধ্যে সমতা বজায় রেখে যে যার মতো করে শান্তিতে ঘুমোনো।
আমেরিকান অ্যাকাডেমি অফ স্লিপ মেডিসিনের গবেষকদের মত অনুযায়ী, ঘুম অসম্পূর্ণ হলে তা কেবল শরীরের ক্ষতি করে না, মনমেজাজের উপরেও প্রভাব ফেলে। ঘুম ঠিকঠাক না হলে অকারনেই খিটখিটে হয়ে গিয়ে মেজাজ তিরিক্ষি থাকে। ফলে সম্পর্কের উপরেও একটা খারাপ প্রভাব পড়ে। তাই শান্তিতে ঘুমোনোর জন্য ইদানীং অনেক দম্পতিই আলাদা শুতে পছন্দ করছেন।
[আরো পড়ুন:👉 দুই বউয়ের স্বামী এক, কিভাবে কাটছে সংসার ?]
এ বার প্রশ্ন হল, এই আলাদা ঘুম বা ‘স্লিপ ডিভোর্স’ সম্পর্কের উপর কেমন প্রভাব ফেলছে? অনেকরই হয়তো মনে হতে পারে, আলাদা ঘুম মানেই সম্পর্কে সমস্যা বাড়বে। কিন্তু সমীক্ষা অন্য কথাই বলছে। প্রকৃতপক্ষে ঘটেছে উল্টোটাই। কারণ নিজেদের মধ্যে সমস্যা বা মতপার্থক্য নিয়ে একসঙ্গে ঘুমাতে গেলে সম্পর্কে সমস্যা অনেক বেশী বাড়ছে। কিন্তু একমত হয়ে আলাদা বিছানা বা ঘরে ঘুমোলে তিক্ততা তার তুলনায় কমেছে। সম্পর্ক অনেক বেশি স্থায়ী হয়েছে।
[আরো পড়ুন:👉 সম্পর্কে তুই না তুমি কোনটা বেশি জরুরি ?]