‘Introvert’ কথা টার সঙ্গে অনেকেই পরিচিত। এককথায় যারা একটু চুপচাপ প্রকৃতির মানুষ। বেশি কথা বলতে পছন্দ করেন না, মিশতে চায় না সহজেই অন্য দের সাথে, তাকেই বলে introvert বা অন্তর্মুখী।
আবার ঠিক এর বিপরীত টা হল extrovert বা বহির্মুখী। মানে যারা আবার কথা বলতে ভালোবাসে, সকলের সঙ্গে মিশে যায় অনায়াসেই তারা।
introvert এরা কাজ করলেও চুপচাপ ভাবে করে। কাজ টি ভালোভাবে কমপ্লিট করলে নিজের মনেতেই আত্মতৃপ্তি অনুভব করে। মূলত সৃজনশীল যে সমস্ত কাজ রয়েছে সেগুলোর সঙ্গে introvert প্রকৃতির মানুষদেরকে যুক্ত থাকতে দেখা যায়।
জগতে বিভিন্ন ধরণের কাজ রয়েছে। সব কাজ সবার জন্য নয়। সব কাজ সকলে করতে পারে না। তেমনই কিছু কাজ রয়েছে যেগুলি করতে শান্ত মন, অধীর ধৈর্য, একাকীকতা ইত্যাদির দরকার হয়। এই গুলি চুপচাপ থাকা মানুষজনের পক্ষে উপযুক্ত হয়। আবার সেগুলি থেকে যদি অর্থ উপার্জন হওয়ার সংযোগ থাকে তাহলে তো আর কথাই নেই।
নীচে তেমনই কিছু কর্মসংস্থানের ধারণা দেওয়া হলো।
লেখার কাজ বা writing
introvert দের প্রায়শই লেখালিখি সংক্রান্ত কাজের সাথে যুক্ত থাকতে দেখা যায়। কারণ এটা তাদের কে নিজেদের মনের ভাব কে গুছিয়ে প্রকাশ করতে সাহায্য করে। তাই একজন content writer হিসেবে নিজের লেখা অথবা অনুকরণ লেখা ওয়েবসাইট, ব্লগ প্রভৃতির মাধ্যমে প্রকাশ করা। অথবা এর সাথে জড়িত ফ্রী ল্যান্সিং এর মাধ্যমে অর্থ উপার্জন সম্ভব হয়।
গ্রাফিক ডিজাইন
যদি আপনি ক্রিয়েটিভ প্রকৃতির হন, তাহলে গ্রাফিক ডিজাইনের মাধ্যমে ফ্রী ল্যান্সিং জব করে অর্থ উপার্জন করতে পারেন। এক্ষেত্রে আপনি লোগো, সোশ্যাল মিডিয়া গ্রাফিক, এছাড়া ভিজুয়াল গ্রাফিক করতে পারেন।
অনলাইন কোচিং
কোভিড এর পর থেকে অনলাইন কোচিং এর জনপ্রিয়তা বেড়েছে। তাই আপনি যদি একজন ট্রু নলেজ গেনার হন তাহলে অনলাইন কোচিং এর মাধ্যমে ইন্ডিভিজুয়াল হোক বা ব্যাচ হিসেবে ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে তা ডিস্ট্রিবিউট করতে পারেন।
ভার্চুয়াল এসিস্ট্যান্ট সার্ভিস
ঘরে বসেই আপনি ভার্চুয়াল এসিস্ট্যান্ট এর কাজ করতে পারেন। এটা হতে পারে কোনো ব্যাবসায়ী প্রতিষ্ঠানের বা নতুন কোনো ব্যাবসা সংস্থার। সমস্যায় ভুক্তভোগী ক্লাইন্ট দের কে ইমেল সাপোর্ট, তাৎক্ষণিক রিসার্চ, তথ্য সরবরাহ প্রভৃতি এডমিনিস্ট্রিটিভ কাজ করে দেওয়া।
[আরো পড়ুন:👉 শুধু পড়াশুনো নয় পাশে রাখতে হবে এই ‘ স্কিল ডেভেলপমেন্ট ‘ কোর্সগুলিকে তাও ফ্রী তে তাহলেই বাজিমাত]
ফটোগ্রাফি
একজন introvert বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই প্রকৃতিপ্রেমী হয়ে থাকে। প্রকৃতি কে ক্যামেরা দিয়ে একটুকরো ফ্রেমে তে আবদ্ধ করে রাখে। নিজের এই শখ কে কর্মসংস্থান রূপে পরিণত করতে পারেন। অনেক স্পেসিফিক জোন আছে যেখানে হাই কোয়ালিটি ছবির প্রয়োজন হয়। এছাড়াও প্রোডাক্ট ফটোগ্রাফি, ইভেন্ট ফটোগ্রাফি ও রয়েছে।
সামাজিক মাধ্যমের ব্যাবস্থাপনা
একজন নিশ্চুপ প্রকৃতির মানুষ সোশ্যাল মিডিয়া ম্যানেজার রূপেও নিজেকে পরিণত করতে পারে। সামাজিক সংস্থা গুলিতে ইভেন্ট, কন্টেন্ট তৈরি করে ফলোয়ার দের সাথে নিত্য মেলবন্ধন বজায় রাখার মত সূক্ষ্ম কাজ।
বর্তমান যুগে প্রযুক্তির অগ্রগতির সাথে সাথে কর্মসংস্থানের ধরণেও বৈচিত্র্য এসেছে। যারা অন্তর্মুখী বা introvert প্রকৃতির, তাদের জন্যও এখন অনেক সম্ভাবনাময় কর্মক্ষেত্র তৈরি হয়েছে।
এই ব্লগটিতে এমন কিছু কাজের কথা বলা হয়েছে যা অন্তর্মুখী মানুষের জন্য উপযুক্ত।
[আরো পড়ুন:👉 টাকা কিভাবে ছাপা হয় টাকা ? ছাপাতেই বা কত টাকা খরচ হয় ?]
শান্ত মন, ধৈর্য এবং একাকীতার প্রয়োজন যেসব কাজের ক্ষেত্রে, সেখানে অন্তর্মুখী মানুষজনের বিশেষ দক্ষতা রয়েছে। তাই এসব কর্মক্ষেত্রে তারা একদিকে যেমন নিজেদের প্রতিভা প্রকাশ করতে পারেন, তেমনি অর্থ উপার্জনও করতে পারেন।
সঠিক পথ অনুসরণ করে এবং নিজেদের দক্ষতাকে কাজে লাগিয়ে, অন্তর্মুখী মানুষরাও সমানভাবে সফল হতে পারেন। প্রযুক্তি ও ইন্টারনেটের ব্যবহারের মাধ্যমে, তারা সহজেই ঘরে বসে নিজের পছন্দের কাজ করে একটি সুন্দর ক্যারিয়ার গড়ে তুলতে পারেন। তাই উপযুক্ত কাজ নির্বাচন করে, আত্মবিশ্বাসের সাথে এগিয়ে চলুন এবং নিজের সম্ভাবনাকে বাস্তবায়িত করুন।
Leave a Reply