এই হাসফাঁস করা গরমের হাত থেকে বাঁচতে বঙ্গবাসী উত্তরবঙ্গের দিকে বেড়াতে যাচ্ছেন। এছাড়াও কত মানুষ কত প্রয়োজনে বেরোচ্ছেন আর পথে যদি এমন দুর্ঘটনা ঘটে তাহলে কি করবে মানুষ।
সাধারণ মানুষের কাছে ট্রেনটাই বেস্ট মাধ্যম দূরে যাওয়া আসা করার জন্য। সেরকমই সেয়ালদহ লাইনের ডাউন কাঞ্চন জঙ্ঘা এক্সপ্রেস এনজেপি থেকে রওনা দিয়েছিল শিয়ালদার দিকে। কিন্তু একটু এগোতেই সেই ট্রেনটি দুর্ঘটনার মধ্যে পড়ে বলে জানা যাচ্ছে।
জানা যাচ্ছে একটি সিগন্যাল ব্রেক হয়ে যাওয়া মালগাড়ি ওই একই লাইনে এসে পড়ায় কাঞ্চন জঙ্ঘা এক্সপ্রেসটিকে পিছন থেকে ধাক্কা মারে। তাতে পিছনের পার্সেল কামরা ও রেল গার্ডদের কামরা দুটি সাংঘাতিক ভাবে বিধ্বস্ত হয়।
এ যেনো আবারো করমণ্ডলের স্মৃতি মনে পড়ে গেলো। এবারেও মালগাড়ির ধাক্কায় ইঞ্জিনের উপর উঠে গেল কাঞ্জনজঙ্ঘা এক্সপ্রেসের বগি। তবে পিটিআই সূত্রে খবর এখনও পর্যন্ত মৃতের সংখ্যা বেড়ে ১৫। আহত প্রায় ৬০। পরিবারের লোকেরা রীতিমত আতঙ্কে, তাদের পরিবারের মানুষটি সুস্থ আছেন তো এই ভেবে ভেবে সময় কাটছে তাদের।
তার মধ্যেই শুরু হয়েছে রাজনৈতিক কড়চা। কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী এই কান্ডে দোষারোপ করতে ছাড়েন নি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী কে। তার অবহেলাতেই এমন ঘটনা আবার ঘটলো বলে দাবি করেছেন তিনি।
তবে এও শোনা যাচ্ছে যে, ইতিমধ্যেই মৃতদের পরিবার ও আহতদের জন্য ক্ষতিপূরণের কথা ঘোষণা করা হয়েছে প্রধানমন্ত্রীর দফতরের তরফে।
এদিন পিএমও-র ট্যুইটে পোস্ট করে ‘প্রাইম মিনিস্টারস ন্যাশনাল রিলিফ ফান্ড’ থেকে মৃতদের পরিবারকে এককালীন ২ লক্ষ টাকা ও আহতদের ৫০ হাজার টাকা করে দেওয়ার কথা ঘোষণা করা হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে।
[আরো পড়ুন:👉 এবার তোপ দাগলেন বিজেপি নেতা মনোজ তিওয়ারি দিল্লির জল সংকটকে কেন্দ্র করে]