স্বাস্থ্য জগতে একটি বিশেষ নাম সম্প্রতি বেশ আলোচিত হয়েছে, তা হলো রেসভেরাট্রল। এই প্রাকৃতিক পলিফেনল যৌগটি বিশেষ করে রেড ওয়াইন, লাল আঙ্গুরের খোসা, বেরি এবং চিনাবাদাম থেকে পাওয়া যায়। এটি ক্যান্সার, ডায়াবেটিস, হৃদরোগ এবং বার্ধক্য রোধে সাহায্য করতে পারে বলে দাবি করা হয়।
রেসভেরাট্রল এবং হৃদরোগ:
রেসভেরাট্রল হৃদরোগ প্রতিরোধে সহায়তা করতে পারে বলে গবেষণায় উঠে এসেছে। এটি এন্ডোথেলিয়াল ফাংশন উন্নত করতে সহায়তা করে, যা রক্তনালীর স্বাস্থ্য বজায় রাখতে গুরুত্বপূর্ণ। এছাড়া, রেসভেরাট্রল রক্তচাপ কমাতে এবং রক্ত সঞ্চালন উন্নত করতে সাহায্য করতে পারে। তবে, এই বিষয়ে আরও ক্লিনিকাল ট্রায়াল প্রয়োজন।
অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ফাংশন:
রেসভেরাট্রল একটি শক্তিশালী অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট হিসাবে কাজ করে, যা ফ্রি র্যাডিকালগুলি নিরপেক্ষ করে এবং কোষ এবং ডিএনএকে ক্ষতির হাত থেকে রক্ষা করে। এটি বার্ধক্য প্রতিরোধ এবং দীর্ঘায়ু বজায় রাখতে সাহায্য করতে পারে। এই কারণে, রেসভেরাট্রল অনেক অ্যান্টি-এজিং সাপ্লিমেন্ট এবং স্কিন কেয়ার প্রোডাক্টে ব্যবহার করা হয়
ওজন নিয়ন্ত্রণ ও বিপাকীয় স্বাস্থ্য:
কিছু গবেষণায় দেখা গেছে, রেসভেরাট্রল ইনসুলিন সংবেদনশীলতা উন্নত করতে এবং গ্লুকোজ লেভেল নিয়ন্ত্রণ করতে পারে, যা ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য উপকারী হতে পারে। এটি এমন কিছু এনজাইমকে সক্রিয় করতে পারে যা এনার্জি মেটাবলিজম এবং গ্লুকোজ হোমিওস্ট্যাসিসের সাথে সম্পর্কিত।
খাদ্য থেকে রেসভেরাট্রল পাওয়ার উপায়:
রেসভেরাট্রল প্রাপ্তির সবচেয়ে সহজ উপায় হলো প্রাকৃতিক খাদ্য। এখানে কিছু খাদ্য তালিকা দেওয়া হলো:
1. লাল আঙ্গুর: লাল আঙ্গুরের খোসায় রেসভেরাট্রল বেশি থাকে। এটি স্ন্যাক্স হিসেবে অথবা সালাদ এবং ডেজার্টে ব্যবহার করা যায়।
2. রেড ওয়াইন: সীমিত পরিমাণে রেড ওয়াইন পান করা যেতে পারে।
3. বেরি: ব্লুবেরি, ক্র্যানবেরি এবং মুলবেরি রেসভেরাট্রল সমৃদ্ধ।
4. চিনাবাদাম: চিনাবাদাম বা পিনাট বাটার রেসভেরাট্রল পাওয়ার ভালো উৎস।
5. ডার্ক চকলেট: কিছু উচ্চ মানের ডার্ক চকলেটেও রেসভেরাট্রল থাকে।
সাপ্লিমেন্ট হিসেবে রেসভেরাট্রল:
যারা খাদ্য থেকে পর্যাপ্ত রেসভেরাট্রল পেতে পারেন না, তাদের জন্য সাপ্লিমেন্ট একটি ভালো বিকল্প হতে পারে। সাপ্লিমেন্ট বেশি কনসেনট্রেটেড ডোজ সরবরাহ করে এবং নিয়মিত সেবন করা সহজ।
বি.দ্র.: স্বাস্থ্যকর জীবনযাপনের জন্য রেসভেরাট্রল গ্রহণের পরামর্শ প্রদান করা হয়, তবে নতুন সাপ্লিমেন্ট গ্রহণের আগে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া জরুরি।
[আরো পড়ুন:👉শারীরিক ব্যায়ামের মানসিক স্বাস্থ্যের উপর প্রভাব: নতুন গবেষণার আলোকে]
Leave a Reply