স্মার্টফোনের যুগে প্রবেশের সাথে সাথে চার্জিং সমস্যা একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। স্মার্টফোন এবং ল্যাপটপে দ্রুত চার্জ সম্পন্ন করতে, এক নতুন প্রযুক্তি নিয়ে কাজ করছেন ভারতীয় গবেষক অঙ্কুর গুপ্তা এবং তার দল। তারা ইউনিভার্সিটি অফ কলোরাডো বোল্ডারে এই নতুন প্রযুক্তি নিয়ে গবেষণা করছেন।
অঙ্কুর গুপ্তা এবং তার দল একটি নতুন ধরণের শক্তি সঞ্চয়কারী যন্ত্র ‘সুপার ক্যাপাসিটার’ নিয়ে কাজ করছেন, যা মাত্র ১ মিনিটে একটি ল্যাপটপ বা ফোন সম্পূর্ণ চার্জ করতে সক্ষম। এই প্রযুক্তি ‘প্রসিডিংস অফ দ্য ন্যাশনাল অ্যাকাডেমি অফ সায়েন্স’ জার্নালে প্রকাশিত হয়েছে।
অঙ্কুর গুপ্তা বলেন, “সুপার ক্যাপাসিটারগুলি শক্তি সঞ্চয়ের জন্য ব্যাটারির মতোই ব্যবহার করা যায়। তবে ব্যাটারি যেখানে ইলেকট্রোকেমিক্যাল প্রতিক্রিয়ার উপর নির্ভর করে, সেখানে সুপার ক্যাপাসিটারগুলি চার্জ সঞ্চয় করে একটি স্পঞ্জের মতো।”
সাধারণ লিথিয়াম-আয়ন ব্যাটারির তুলনায় সুপার ক্যাপাসিটারগুলি দ্রুত চার্জ করতে সক্ষম। ইতিমধ্যেই সুপার ক্যাপাসিটারগুলি লাম্বরগিনি কানান গাড়িতে ব্যবহার করা হয়েছে, যেখানে ব্রেকিংয়ের সময় কাইনেটিক এনার্জি পুনরুদ্ধার করে দ্রুত চার্জ করা সম্ভব।
গবেষণা প্রক্রিয়াটি খুবই ধীর এবং নির্ভুলভাবে সম্পন্ন করা হয়েছে। ২০১৯ সালে এই ধারণাটি প্রথম শুরু হয় এবং গবেষণার প্রতিটি ধাপই সুক্ষ্মভাবে পরিকল্পনা করা হয়েছে।
অঙ্কুর গুপ্তা এবং তার দলের গবেষণার ফলে, দ্রুত চার্জিং প্রযুক্তি স্মার্টফোন, ল্যাপটপ এবং গাড়িতে ব্যবহার করা সম্ভব হবে। এছাড়াও সুপার ক্যাপাসিটারগুলি দীর্ঘমেয়াদী ব্যবহার এবং সুরক্ষার দিক থেকেও সুবিধাজনক।
সুপার ক্যাপাসিটারগুলি প্রচলিত ব্যাটারির তুলনায় ১০০ গুণ বেশি চার্জ-ডিসচার্জ সাইকেল সহ্য করতে পারে এবং কিছু ক্ষেত্রে ব্যাটারির চেয়ে নিরাপদ। এই প্রযুক্তি এয়ারবাস এ৩৮০ বিমানের জরুরী এক্সিট ডোরেও ব্যবহৃত হচ্ছে, যেখানে দ্রুত চার্জিং এবং উচ্চ শক্তি সঞ্চয়ের প্রয়োজন হয়।
ভারত ও এশিয়ার প্রসঙ্গে, সুপার ক্যাপাসিটার প্রযুক্তি বিদ্যুৎ সংকট মোকাবেলায় একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে।
[আরো পড়ুন:👉রোবট-এর জন্য মানুষ হারাচ্ছে চাকরি !]
[আরো পড়ুন:👉মহাকাশে আটকে গেলন দুই মহাকাশচারি । কিভাবে ফিরছে তারা ?]