গ্রীষ্মের সকালে কিংবা দুপুরে এক বাটি আম নিয়ে খেতে বসার মজাই আলাদা। এখন আমের সিজন, তাই আম প্রিয় বাঙালির এখন সবেতেই আম খাওয়া চাই। কিন্তু এই আম খাওয়া একটু বেশি হলেই পেট টা একটু জ্বালায়, হয়তো একবারের বেশীই টয়লেটে ছুটতে হয় পায়খানার উদ্দেশে। আর তা থেকেই সকলে ধারণা করতে শুরু করে দেয় যে, আম খেয়েই বোধহয় আমাশা হলো।
জনপ্রিয় ফিজিশিয়ান ড: নারায়ন ব্যানার্জি বলেন, এমন সময় অনেক পেশেন্টই এসে থাকেন যাদের ধারণা হয় যে ” আম খেয়েই আমাশার সৃষ্টি”। শুধু তাই নয় এও বলেন যে, কিছু পেশেন্ট এও দাবি করেন যে গোটা পরিবারের ওই আম খেয়েই আমাশা হয়েছে , কিন্তু এটি সম্পূর্ণ একটি ভুল ধারণা বলে তিনি জানান। তিনি এও বলেন যে, এটা একটা মিথ , এটা ভাঙ্গা দরকার।
কারণ, আমে রয়েছে প্রচুর পরিমানে ফাইবার যা আমাদের শরীরে অনেক ভালো কাজে লাগে। ফাইবার বেশি খেলে পায়খানা ভালো হয়। একটু বেশি আম খেলে নরম হয়। আর সেটাকেই সকলে আমাশা বলে ধরে নিয়েছে। কারণ এখানে ইরিটেবল বাওয়েল সিনড্রোম এর সমস্যা বেশি তাই সকলেই আমকেই দোষী বানায়।
কিন্তু আমের সাথে আমাশার মিল থাকলেও আম খেয়ে আমাশা হয়না। বাঙালির এমনিই কোষ্ঠকাঠিন্যতে ভোগেন, তাতে এমন ফাইবার সমৃদ্ধ ফল একটু আরাম দেয়। কিন্তু মানুষ এর ভুল ব্যাখ্যা বের করে।
তাই এমন ভাবা বন্ধ করুন যে আম খেলেই আমাশা হতে পারে।
1 thought on “অনেকেই বলেন বেশি আম না খাওয়াই ভালো কারণ আম থেকেই আমাশা হতে পারে। কিন্তু ডাক্তাররা বলছেন অন্য কথা। কি বলছেন চিকিৎসকরা আসুন জেনে নিই।”